ভালোর শপথে নতুন বছর

প্রায় এক মাস অতিবাহিত হতে চললো নতুন বছরের। এই এক মাসে অনেকেই নতুন লক্ষ্য ঠিক করে নিয়েছেন। গেল বছরের গ্লানি ও ভ্রান্তি শুধরে নতুন বছরে নিজের ব্যক্তিত্ব উন্নয়ন চেষ্টাও শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে এমন কিছু প্রতিজ্ঞা করতে পারেন যার মাধ্যমে কেবল নিজের ব্যক্তিগত সাফল্যই নয়, আশ-পাশ বা সমাজও বদলে যেতে পারে। আর এই ভাবনা থেকেই বাংলা কুইজ প্ল্যাটফর্ম কুইজার্ডসের উদ্যোগে গত ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ‌’আমার সুনাগরিক শপথ’ শীর্ষক অনলাইন সচেতনতা ক্যাম্পেইন।

এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাপনটি নতুন বছরের নতুন প্রতিজ্ঞা ছোট ভিডিও বা লিখিত বার্তার মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছে দেবেন। এই ছোট ছোট বার্তার মাধ্যমে আপনি যে প্রতিজ্ঞা করেছেন তা অন্যরা যেমন জানতে পারবেন তেমনি নিজেও সেই প্রতিজ্ঞা পালনে উৎসাহিত হবেন।

এই ক্যাম্পেইনে চাইলে যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অংশগ্রহণ করতে আপনার ভিডিও বা লিখিত বার্তা নিজের ওয়াল থেকে #MyShunagorikPledge হ্যাশট্যাগ দিয়ে পোস্ট করতে হবে। সেরা ১০ প্রতিজ্ঞাকারী পাবেন আয়োজকদের পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় পুরস্কার।

এই ক্যাম্পেইনে যোগ দিয়েছেন নির্মাতা সাকিব বিন রশিদ। তিনি খাদ্য অপচয় রোধের প্রতিজ্ঞা করেন। তার বার্তার মাধ্যমে তিনি সকলকে খাবার অপচয় করতে নিরুৎসাহিত করেন এবং তিনি নিজেও খাবার অপচয়ের বিরুদ্ধে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। এছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এনায়েত চৌধুরী প্রতিজ্ঞা করেন এই বছর এক বারও তিনি ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করবেন না। তিনি অন্যদেরও এমন প্লাস্টিক ব্যবহার না করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

সুনাগরিক প্রকল্পের প্রধান আকিব মোহাম্মদ সাতিল বলেন, ‘আমরা সবাই চাই, সুন্দর ও নিয়মতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠুক যেখানে সবাই নিজেদের জায়গা থেকে নাগরিক অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন থাকবেন। এই ক্যাম্পেইনের মূল উদ্দেশ্য সবার মাঝে সচেতন নাগরিকত্বকে উৎসাহিত করা।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে তরুণদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ‘আমিও সুনাগরিক প্রকল্প’-এর এই ক্যাম্পেইন। সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই প্রকল্পের সাথে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিজ্ঞা করছেন তরুণরা।

পরিবেশ বান্ধব ইকোব্রিক ব্যবহারে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন যশোরের জারিন তানজিন নির্জনা। রাজশাহীর সামিউল ইসলাম বিদ্যুৎ অপচয়ের বিরুদ্ধে প্রতিজ্ঞা করেছেন। ছোট ছোট এসব প্রতিজ্ঞাই আগামী দিনে সুন্দর নাগরিক সমাজ গড়ে তুলবে বলে বিশ্বাস করেন আয়োজক ও প্রতিজ্ঞাকারীরা।

ক্যাম্পেইন ‘আমিও সুনাগরিক প্রকল্প’ এমন একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে এই ওয়েব সাইটের বিভিন্ন গল্প ও কুইজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিশু ও তরুণ সমাজকে তাদের নাগরিক অধিকার ও কর্তব্যগুলো সম্পর্কে উৎসাহিত করা হয়। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির সহায়তায়, কুইজার্ডসের এই উদ্যোগ যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। ক্যাম্পেইনটি নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে এমনটাই বিশ্বাস আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের।

আমাদের অন্য গল্পগুলো

শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে

তৃতীয় বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে অনুন্নত দেশগুলোতে শিশুরা অবহেলিত। পরিবারে বাবা-মা, ভাইবোনদের স্নেহ-ভালোবাসার বাইরে সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে তাদের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া হয় কমই। শিশুরাই সমাজের সৌন্দর্য।

ক্লিক করুন

নতুন গল্পগুলো সম্পর্কে আপডেট পেতে চাইলে

আপনার ইমেইল এখানে লিখুন